L O A D I N G

আপনি কোথায় যাবেন , কেন যাবেন ?

যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কোথাও কিছু লেখার আগে দশবার ভেবে নিবেন ….মোবাইলে সফটওয়্যার দিয়ে ভালো বাংলা টাইপ করতে পারা মানে এই না যে — আপনি একজন ভালো লেখক কিংবা সমালোচক ? আর তা ছাড়া , আপনি যদি ওই প্রতিষ্ঠানের সার্ভিস না নিয়ে থাকেন , তাহলে সেই অফিস নিয়ে বাড়তি কথা বলার মানে হচ্ছে — আপনি একটি স্বঘোষিত বাঁচাল ও ইঁচড়েপাকা | আপনার যদি উক্ত অফিস থেকে সার্ভিস নেবার প্রয়োজন হয় , তাহলে আপনি অনুগ্রহ করে নিচের কয়েকটি জিনিস অনুসরণ করুন | ঘরে বসে থেকে ফেসবুকে কতিপয় কুতুবুদ্দিন হরিদাস পালের কমেন্টস পড়েই লাফিয়ে উঠবেন না | আপনার নিজের অর্জিত জ্ঞান বুদ্ধি মেধা কাজে লাগিয়ে তারপর অগ্রসর হউন |

১. কোম্পানির ওয়েবসাইট A2Z ব্রাউজ করুন ; লাস্ট কবে আপডেট হয়েছে ; দেখে নিন |
২. কোম্পানির গুগল বিজনেস পেইজ ব্রাউজ করুন | সার্ভিস পাওয়া না পাওয়া ক্লায়েন্টসদের রিভিউ পড়বার চেষ্টা করুন |
৩. কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়াতে অফিসিয়াল পোস্ট , ইনফরমেশন, answer দেবার ধরণ খেয়াল করুন ; ফেসবুক এবং ইউটিউব দেখে নিন ; কি কি তথ্য দেওয়া আছে ? আপনার উপকারে এসেছে কিনা ?
৪. অফিস ভিজিট করে সিইও এবং সিনিয়র কনসালট্যান্ট কারো সাথে পরিচিত হউন; খোলামেলা কথা বলুন | প্রয়োজনে তাঁদের রিজিউমি দেখে নিন | ভিজিটিং কার্ড সংগ্রহ করতে ভুলবেন না | আসার সময় বলে আসবেন — আপনাকে যেন অযথা যখন তখন ফোন দিয়ে বিরক্ত না করা হয় !
৫. অফিসের সার্বিক গেটাপ , ইনফরমেশন দেবার লেভেল , প্রিন্টেড কোনো ডকুমেন্টস কালেক্ট করুন ; বাসায় গিয়ে যেন পড়তে পারেন | বিশেষ করে নিউজ লেটার | ভার্সিটির ব্রশিউর , ক্যাটালগ , লিফলেট , প্রেস-রিলিজ থাকলে চেয়ে নিন |
৬. সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ওয়েবসাইটে ” সাকসেস স্টোরিজ ” সেকশন পড়ে নিন | ক্লায়েন্টসদের কমেন্টস পড়ুন, অবশ্যই ছবি সহ ; ক্লায়েন্টসের ডিটেলস দেখে নিবেন |
৭. অফিসের লাইসেন্স, ভ্যাট ট্যাক্স এর সনদ, আন্তর্জাতিক কোনো স্বীকৃতি , অফিস প্রতিষ্ঠার সন এবং সার্বিক পরিবেশ এক নজরে চোখ বুলিয়ে নিন |
৮. অনলাইনে ভিডিও ক্যামেরার সামনে বসে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলা লোকদের থেকে ১০০০ হাত দূরে থাকুন ; কোন ঝামেলা হলে তাদের টিকির নাগাল-ও পাবেন না | ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে খুলে বসা জমজমাট ব্যবসায়ীদের কেহই কিন্তু কানাডা কিংবা আমেরিকা সরকারের অফিসিয়াল প্রতিনিধি নয় ; এটা মাথায় রাখবেন |
৯. বিশ্বের আন্তর্জাতিক এডুকেশনাল নেটওয়ার্ক যেমন ICEF, NAFSA, WEBA, AIRC, IECA, ApplyBoard তারা কেহই অনলাইনের সস্তা ব্লগার , ইউটিউমার , ফেসবুকের কাউকেই অফিসিয়াল কনসালট্যান্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেন না ; আমার কাছে তারা হচ্ছে একরকম লোকাল বাসে ফেরি করে মলম বিক্রি করা ক্যানভাসার !
১০. আপনার পরিচিত কেহ যদি ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কানাডা কিংবা আমেরিকা যেয়ে থাকে , তাহলে উনাকে সঙ্গে নিয়ে আসার চেষ্টা করুন | সার্ভিস চার্জের ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলে নিন | অফিসিয়াল এগ্রিমেন্ট করতে ভুলবেন না | ফাইনান্সিয়াল ম্যাটার আগেভাগেই ক্লিয়ার করে নিবেন |

সর্বশেষ- এতকিছুর পরেও যদি কেহ, কোন প্রতিষ্ঠান আপনার সাথে জেনেশুনে ইচ্ছাকৃতভাবে অনিয়ম প্রতারণা কিংবা অর্থনৈতিক ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে; তাহলে আপনি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী অবশ্যই আইনপ্রয়োগকারী ব্যক্তির সাথে কথা বলুন ও প্রতিকার পেতে যা যা করণীয় ; তাই করুন |
কিন্তু অনলাইনের ক্যানভাসার ইউটিউমার ফেসবুক ব্লগার তাদের দ্বারা যদি আপনার অনেক বড় কিছু ক্ষতি হয়, তাদেরকে কোথায় গিয়ে ধরবেন ? সে তো হাওয়াই মিঠাই হয়ে যাবে আপনার দুর্ঘটনার খবর শোনার পরপরই |

অতএব, অনলাইনে কনসাল্টেন্সির দোকান খুলে বসা ক্যানভাসারদের থেকে যতটুকু পারেন , দূরে থাকেন | এইসব ভুঁইফোড় ফেসবুক-ইউটিউব সর্বস্ব পরামর্শদাতাদের কাছে কানাডা কিংবা আমেরিকার ভিসা মনে হবে কাবুলের ভিসা !

উপরের দশটি টিপস শুধুমাত্র আপনার জন্যে , যাঁরা একটু শান্তিতে নির্ভেজাল উপায়ে এডুকেশন এজেন্টসের কাছ থেকে সম্পূর্ণ সার্ভিস নিতে ইচ্ছুক ! আপনি যদি সব নিজে নিজে পারেন , তাহলে এই পোস্ট আপনার জন্য নয় | — শা অ্যাডমিন ম্যানেজার

Leave a Comment