
আমাদের কাছে অনেক অনুরুধ আসে, ভাইয়া আমার ছবি দিলেন না যে! আমাকে নিয়ে পোস্ট দিলেন না যে!! গতবছর আগস্ট মাসে একদিনে তিনটি ভিসা তুলেছিলেন আমাদের বাপন স্যার। সেইসময় আমরা এখানে প্রদর্শিত তিনজন ছাত্র-ছাত্রীর কাউকে নিয়েই পোস্ট দিতে পারিনি, বলা যায় কাজের ব্যস্ততায় ভুলেই গিয়েছিলাম। আজকে এই তিনজনের একজনকে নিয়ে পোস্ট।
মিল্কা মার্গারেট ক্রুজ। সদাহাস্যোজ্জ্বল মিষ্টভাষী মিল্কা আমাদের অফিসে পা রাখলেই মনে হতো অফিস হাসছে। নিজের বন্ধু-বান্ধব সার্কেল ধর্ম নিয়ে সুন্দর সুন্দর কথা বলতো। আমাদেরকে বড়দিনে নিমন্ত্রণ ও দিয়েছিলেন। কিন্তু আর যাওয়া হয়নি, কারণ তার আগেই মিল্কা কানাডায় চলে গেছেন। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কমার্শিয়াল মাইন্ডে কথা বলি না। আমরা প্রফেশনাল, এটা সত্য। কিন্তু সোশ্যাল ও! আমরা চেষ্টা করি, যে কোনো ধর্মের যে কোনো উৎসবে সশরীরে অংশগ্রহণ করতে। আমাদের কাছে সম্পর্কটাই বড়, অর্থের ব্যাপারটা এখানে সামান্য। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে সোশ্যাল সায়েন্সে অনার্স শেষ করে সঠিক সময়ে পারফেক্ট ডিসিশন নিলেন মিল্কা মার্গারেট। জীবনে বড় হতে গেলে সময়ের কাজ সময়েই শেষ করা বুদ্ধিমান মানুষের কাজ। মিল্কা ম্যাডাম তাই করলেন। বাপন স্যারের কাউন্সেলিং আর নিখুঁত প্রসেসিংএ সোশ্যাল সাইন্স থেকেও যে কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়া যায়, মিল্কা ম্যাডাম তার প্রমান। ইউনিভার্সিটি অব কানাডা ওয়েস্টে হিউমান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে এমবিএ করতে মিল্কা ম্যাডাম এখন বিশ্বের সেরা লিভিং সিটি বলে খ্যাত ভ্যাংকুভারের গ্রিন ক্যাম্পাসে।