কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়াশোনা করতে হলে স্টুডেন্ট ভিসা বা স্টাডি পারমিট প্রয়োজন।
কানাডায় পড়ালেখার জন্য স্টাডি পারমিট নেয়ার আগে আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে, যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপনি পড়াশোনা করতে চলেছেন সেটিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ভর্তি করার অনুমতি আদৌ দেয়া হয়েছে কিনা। কারণ স্টাডি পারমিটের আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষালয়ের তরফে দেওয়া লেটার অব অ্যাকসেপ্টেন্স জমা দিতে হবে।
স্টাডি পারমিট কি:
এটি কানাডা সরকার দ্বারা প্রদত্ত একটি নথি যা বিদেশি ছাত্র ছাত্রীদের Designated Learning Institutions (DLI) এ পড়াশুনা করতে অত্যাবশ্যক। স্টাডি পারমিট এর আওতায় থাকাকালীন তার নিয়মাবলী মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।
আর্থিক সচ্ছলতা:
কানাডায় পড়াশোনার জন্য স্টাডি পারমিট পাওয়ার অন্যতম শর্ত আর্থিক সচ্ছলতা। টিউশন ফি, দেশে ফিরে আসার খরচ এবং কানাডায় জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহের সঙ্গতি আছে এটা অবশ্যই শিক্ষার্থীকে প্রমাণ করতে হবে।
এছাড়া সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া, কানাডার নিয়মকানুন মেনে চলা এসব শর্ত তো রয়েছেই।
যেসব ক্ষেত্রে স্টাডি পারমিট লাগে না:
ছয় মাস বা তার চেয়ে কম মেয়াদী কোর্স করতে স্টাডি পারমিট লাগে না, তবে শর্ত হচ্ছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোর্সটি শেষ করতে হবে।
কূটনীতিক বা বিদেশী প্রতিনিধিদলের সদস্যদের স্টাডি পারমিট প্রয়োজন হয় না। স্টাডি পারমিট লাগবে কিনা সেটা কানাডার বাংলাদেশ দূতাবাস সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত করবে।
ভিজিটিং আর্মড ফোর্সেস আইনের’ অধীনে কানাডায় যাওয়া বিদেশী সামরিক বাহিনীর সদস্যদের স্টাডি পারমিট প্রয়োজন হয় না।
স্টাডি পারমিট পরিবর্তন:
প্রাইমারী পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইস্কুল পর্যায়ে পড়াশোনা শুরুর সময় স্টাডি পারমিট পরিবর্তন করতে হয়। আবার হাইস্কুল পর্যায়ে পড়াশোনা শেষ করে পোস্ট সেকেন্ডারি পর্যায়ে পড়াশোনা শুরুর সময় স্টাডি পারমিট পরিবর্তন করতে হবে। তবে পোস্ট সেকেন্ডারি পর্যায়ে এসে কোর্স পরিবর্তন বা ব্যাচেলর পর্যায় শেষ করে মাস্টার্স কোর্স শুরু সময় নতুন করে স্টাডি পারমিট নিতে হবে।