L O A D I N G

Do your level best — don’t settle for just ‘better’

প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ,

আমি কিন্তু কোন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক লেকচারার কিংবা প্রফেসর নই।
একজন এডুকেশন এন্ড ক্যারিয়ার কনসালট্যান্ট হিসেবে আমি জীবনে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী পেয়েছি, তাঁদেরকে আমেরিকা কানাডা ব্রিটেন ইউরুপ ও অস্ট্রেলিয়াতে পাঠিয়েছি, যারা আমার চেয়ে অনেক মেধাবী, বুদ্ধিমান, স্মার্ট ও প্রজ্ঞাবান। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে – অনেকে বেস্ট , এক্সিলেন্ট বা উত্তম হওয়ার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, সেই পথ ধরেনি – নিজেরদেরকে তৈরী করেনি, আর তাঁদের যে অকল্পনীয় সম্ভাবনা ছিল – তার কাছাকাছি যেতে পারেনি! এটা আমাকে বারবার কষ্ট দেয়। বহুবার নানান কাজে আমেরিকা , কানাডা , অস্ট্রেলিয়া , ইউরুপ , ব্রিটেন ভ্রমণ করে আমার চোখে সেই চিত্রই ভেসে উঠেছে।

আমার মত অতি এভারেজ মানের একজন ছাত্র আজ যত্সামান্য যা করেছি – তা, আমার রেলেন্টলেস নিরন্তর পরিশ্রম-এর ফসল; বিশ্বের শ্রেষ্ঠদের সাথে তুলনা করলে, আমার কাজের আরও উন্নতির অবকাশ রয়েছে, এবং আমি সবসময় নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করি, এখনো করে যাচ্ছি। কিন্তু আমি শত শত ছেলেমেয়ে দেখেছি – যারা আমার চেয়ে হাজারগুন্ ভাল, এরা অনেক অনেক উপরে উঠতে পারত, পারে। কিন্তু এদের সবাই পরিশ্রম করতে চায় না — এদের অনেকেই আগডুম-বাগডুম — দেশ, দশ, রাজনীতি, খেলা, আলতুফালতু ছোট ছোট বিষয়ে মত্ত রাখে নিজেদেরকে। কিছু ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে মগ্ন থাকেন, বা অলসতা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার চক্করে পড়ে অনেকে ভিডিও টিকটক রিলস এইসব হাবিজাবি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ; অনেকে আনঅফিসিয়ালি স্বঘোষিত ব্লগার ইউটিউবার ফেসবুকার হয়ে গেছেন। সারাদিন হাতে একটা ক্যামেরা নিয়ে স্টুডিওতে বসে জ্ঞান উপদেশ বিলিয়ে বেড়ান , যা খুবই দুঃখজনক , হতাশাজনক।

আমার সবিনয় অনুরোধ – তুমি-তোমরা যদি সর্বোচ্চ মানে পৌঁছানোর জন্য প্রচেষ্টা না চালাও – তাহলে আমার বয়সে এসেও দেখবে যে – যেই লাউ, সেই কদুই আছে। চা-এর আড্ডা বা ক্লাবে/রুমে বসে হৈচৈ ফেলে দিয়ে – নিজেদেরকে উন্নত করা যায় না, দেশ বা জাতির উন্নতি তো দূরের কথা।

তোমাদেরকে সম্মিলিতভাবে
– সর্বোচ্চ পরিশ্রম করতে হবে,
– অলসতা পরিহার করতে হবে,
– যে দেশে বাস করছো, সেই দেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য যা যা স্যাক্রিফাইস ও দিকদর্শন রাখা দরকার ; সেটাই করতে হবে।
– সেইসব দেশের লোকাল কমিউনিটির সব বিষয়ে নাক গলানো বন্ধ করে মানসিক জড়তা / মানসিক সীমাবদ্ধতা / ‘মেন্টাল স্ল্যাভারি’ কাটিয়ে কাজে মনোনিবেশ করতে হবে।

একা ঘরে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করো- তুমি কি সত্যিই নিজের সর্বোচ্চ দিচ্ছো? যদি না দাও, তাহলে ১০ বছর পর নিজেকেই জবাব দিতে পারবে তো ? দেশেই কি তাহলে ভালো থাকতাম ? বিদেশ এসে তাহলে কি লাভ হলো ?

আজ থেকেই নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা শুরু কর!Do your level best — don’t settle for just ‘better’.——————— সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা

Leave a Comment