প্রসঙ্গ : এডুকেশন কনসাল্টেন্সি ফার্ম ইন বাংলাদেশ এন্ড বিদেশে আমাদের মূল্যায়ন
১৯৯৮ সাল থেকে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে যে কার্যক্রম হাতে নিয়েছি , তার সূত্র ধরেই অনেক দেশ ঘুরেছি | আমার অফিসারগণ পর্যন্ত্য ইউরোপ আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়া এশিয়া ঘুরে ফাতা ফাতা ! বিদেশে কনফারেন্স-এ গেলে একজন এজেন্টকে যেভাবে মূল্যায়ন করা হয়, ফাইভ ষ্টার হোটেলে ফ্রি থাকা খাওয়া ; বিভিন্ন ভার্সিটির ক্যাম্পাস ঘুরে দেখানো ; আকর্ষণীয় স্থানে নিয়ে যাওয়া যাকে বলে ফ্যাম ট্যুর ইত্যাদি তার সিকিভাগ সন্মান এই দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই , এটা সত্যি যে আমি পাইনি ! তবে বাংলাদেশ এর সকল প্রিন্ট মিডিয়াতে আমার অনেক সাক্ষাৎকার আছে , ওটাই অনেক বড় সান্তনা | আমাদের দেশের কতিপয় গার্ডিয়ান দেখা হলে জানা শোনা থাকলে জিজ্ঞেস করে ” বাইরে লোক টোক পাঠাও এখনো “! আমি ওদেরকে ছাগল ছাড়া আর কিছুই ভাবি না ! স্টুডেন্ট কনসাল্টেন্সি কিংবা ইমিগ্রেশন নিয়ে কাজ করা মানে আদম ব্যবসা —- এটাই আমাদের দেশে শিক্ষিত , অর্ধ শিক্ষিত , জ্ঞানপাপী , কতিপয় আঁতেল পুঁজিবাদী মানুষের কাছে একমাত্র ধারণা ! আসলে যার জ্ঞান যতটুকু , সেতো ততটুকুই বলবে !! আমার এই ব্যবসার সূত্রধরে এপর্যন্ত যত দেশ ঘুরেছি ; যে বিশাল ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি , যতগুলো সনদ পেয়েছি ; নামি-দামী শিক্ষাবিদ , গভর্নমেন্টাল হাই অফিসিয়ালদের সাথে মিশেছি , ইউনিভার্সিটির ডিন , ভাইস চ্যান্সেলরদের সাথে কথা বলেছি —- আমার মনে হয় বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ সাব ও তার ক্যারিয়ার-এ এতো সাফল্যের ঝুলি দেখাতে পারবেন না !!
আমি কেবল আমার কর্মের স্বীকৃতি নিজের দেশেই পাইনি ! এটাই আফসোস !!! —- সুপ্রিয়
( বিদেশের কনফারেন্স নিয়ে আবার কথা হবে দক্ষিণ আফ্রিকায় আগামী বছর মে মাসে )|