L O A D I N G

আবার আসবে সুসময় , আসুক সুদিন কানাডার পথে-প্রান্তরে

এই ছবিটি ২০০৬ সালে আমাদের সিইও স্যারের কানাডা সফরের সময় ইউনিভার্সিটি অফ টরোন্টোর স্কারবোরো ক্যাম্পাসে তোলা | সেই সময় কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা এতটা ইজি ছিল যে , যাদের IELTS-এ মিনিমাম 6.0 ছিল, তারা চোখ বন্ধ করে কানাডা চলে এসেছেন | যাঁদের জেনারেল ট্রেনিং IELTS-এ মিনিমাম 5.5 ছিল, তাঁরা তো সপরিবারে মাইগ্রেশন করেই কানাডা চলে গেছেন | পৃথিবীতে কানাডাই মনে হয় একটি দেশ , যেখানে খুব যাচাই-বাছাই করে একটা মিনিমাম কোয়ালিটি মেইনটেইন করে তারপর ভিসা দেওয়া হতো |

অথচ দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, এই কানাডা সরকার গত ছয়মাস কোনরকম যাচাই-বাছাই ছাড়া গণহারে ভিজিট ভিসার নামে যে সকল লো-প্রোফাইলের ব্যক্তিদের ভিসা দিয়েছে ; তা খুবই দুঃখজনক ! শুধু তাই নয়, মানবিক অধিকারের কথা বলে বিভিন্ন দেশ থেকে যে হারে আনস্কিল্ড অশিক্ষিত অসামাজিক ধর্মান্ধ জাতিগুষ্ঠি রিফিউজি নেওয়া হয়েছে ; তা সত্যিকারের কানাডার শিক্ষিত এলিট শ্রেণীর নাগরিকদের সাথে সাংঘর্ষিক ! বর্তমানে একটি জরিপ করলেই তার সুন্দর চিত্র বেরিয়ে আসবে – আসলেই কি শিক্ষিত ইমিগ্রেন্ট ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা এমন কানাডা দেখার স্বপ্নেই কি এই দেশে এসেছিলেন ?
যে যত কথাই বলুক– ভিতরে ভিতরে সবাই বিরক্ত , ক্ষুব্ধ ও চিন্তিত ! এর প্রধান কারণ হচ্ছে – চাকুরীর বাজারে অস্থিরতা , সামাজিক পরিবেশ বিনষ্টের আশংকা , শিক্ষার অবমূল্যায়ন |
বাংলাদেশে কতিপয় মৌসুমী ব্যবসায়ীর স্বেচ্ছাচারিতা ও সীমাহীন কান্ডজ্ঞানহীন বিজনেস মনমানসিকতার কারণে এই দেশ থেকে এমন কিছু লোকজন ও পরিবার কানাডা গেছে; যারা নেপালে গিয়ে এক মাস থাকার যোগ্য না ! তারা এখন কানাডার হাটে-মাঠে-ঘাটে ; খুবই দুঃখজনক !

আমরা আশা করছি – সত্যিকারের শিক্ষিত স্কিল্ড পার্সনরাই কানাডায় নেতৃত্ব দিবেন ; তারাই একসময় কানাডার বিজনেস, অর্থনীতি ও শিক্ষার চালিকাশক্তি হবেন | আনস্কিল্ড লোকদের জায়গা এই পৃথিবীর কোথাও নেই ! ঢাকাতেই নেই, কানাডা তো অনেক পরের আলাপ ! — শা অ্যাডমিন ম্যানেজার

Leave a Comment