উত্তর- আমরা সবসময় বলে আসছি , টিউশন ফি আপনি শুধুমাত্র বাংলাদেশের তফসিলভুক্ত যে কোনো পাবলিক কিংবা প্রাইভেট ব্যাংকের ফরেন রেমিটেন্স চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন মর্মে সরকারিভাবে আইনসম্মত ! এর বাইরে আপনি অন্য যে কোনো পথ বেছে নেওয়া মানে ভবিষ্যতে মানি-লন্ডারিংয়ের মতন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল | এই কাজ ভুলে-ও করতে পারবেন না | আপনার কোনো রিলেটিভ যদি আমেরিকা কিংবা কানাডা থেকে আপনার টিউশন ফি দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, সেটা ভিন্ন কথা | কিন্তু সেটার বিনিময়ে আপনি কোনোভাবেই বাংলাদেশে তাঁর কোনো একাউন্টে আপনি টাকা জমা দিতে পারবেন না , এটাও একটা অপরাধ !
আপনি সবসময় মনে রাখবেন , ব্যাংকের ভিতর একটি ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ সবসময় আপনার লেনদেন মনিটরিং করছে | কখন কোন ট্রাঞ্জেকশনে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন , সেটা চিন্তা-ও করতে পারবেন না | কোনো কনসালটেন্সি ফার্মের মালিকের একাউন্টে কিংবা কনসালটেন্টের কথায় সেই অফিসের একাউন্টে টিউশন ফি জমা দিয়ে অফিসিয়াল মানি রিসিট জীবনে-ও নেবেন না | এটাও একটা অপরাধ ! কারণ, কোনো এডুকেশন এজেন্ট আপনার টিউশন ফি দেশের বাইরে পাঠানোর বিন্দুমাত্র কোনো ক্ষমতা রাখে না | যদি রেখে থাকে, তাহলে আজই অফিসে গিয়ে ক্লেম করুন ও টাকাটা উঠিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠান | যদি কোনো কারণে আপনার ভিসা না হয়, তাহলে যে একাউণ্ট থেকে টাকাটা গিয়েছে , ভার্সিটি বা কলেজ আবার সেই একাউন্টেই আপনার টাকাটা পাঠিয়ে দিবেন | এটাই বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন করবার অফিসিয়াল নিয়ম | বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক থেকে সার্কুলার করা সরকারি প্রজ্ঞাপন |
আপনি কোনো এজেন্টের অফিসে টিউশন ফি জমা দিলেন, যদি কোনো কারণে উনি আপনার এই টাকা নিয়ে নয়-ছয় করেন, আপনি কাউকে সেটা বলতেও পারবেন না | বললেই আপনি ও কট ( caught ) ! কারণ, অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে তব ঘৃণা যেন তারে তৃণসম দহে ! সরকারের সাথে অর্থনৈতিক অপরাধের গ্যাড়াকলে একবার পড়ে গেলে বুঝবেন ……কত ধানে কত চাল ? সাধু সাবধান | — শা অ্যাডমিন ম্যানেজার