মাকে নিয়ে কি লিখবো ? বছরের ৩৬৫ দিন যে মানুষটি বিনা স্বার্থে বিনা বেতনে বিনা অভিযোগে নাক-কান-চোখ-মুখ বন্ধ করে এই সংসারের জন্য নীরবে-নিঃশব্দে কাজ করে যাচ্ছে ; আমাকে আপনাকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবার জন্যে একটা অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে সারাদিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে — সেই মহান মানুষটিকে নিয়ে লেখার সাধ্য আমাদের নেই | কোন কবি লিখতে পারেনি, কোন লেখক লিখতে পারেনি , কোন শিল্পী তাঁর পূর্ণাঙ্গ ছবি আঁকতে পারেনি ; কোন অভিনেত্রী তাঁর মতন করে নিখুঁত অভিনয় করতে পারেনি ; সেখানে শা এসোসিয়েটসের একজন সামান্য ফেসবুক অ্যাডমিন ম্যানজার এমন কি লিখবে ? যে মা তাঁর সন্তানকে এতো বড় করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন– বিদেশে উচ্চ শিক্ষা , কিংবা ওপেন ওয়ার্ক পার্মিট , ভিজিটর ভিসা , ইমিগ্রেন্ট ভিসা সার্ভিস নেবার জন্যে , সে মাকে শুধু আমাদের হৃদয় থেকে আমাদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শ্রদ্ধা , ভালবাসা ও সন্মান | আমাদের প্রতি তাঁর এই বিশ্বাস আস্থা ও ভালবাসা থাকবার জন্য এবং সর্বোপরি আশীর্বাদ দেবার জন্যে |
অনেক মায়েরা যখন তাঁদের প্রিয় সন্তানকে নিয়ে আমাদের অফিসে আসেন, আমরা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি সেই মায়ের গর্বিত চোখের দিকে , তাঁর অনিন্দ্য সুন্দর হাসিমাখা মুখের দিকে | কতবড় স্বপ্ন নিয়ে উনি উনার সন্তানকে বড় করেছেন ; ভালবেসে আগলে রেখেছেন — সেই মাকে আমাদের পক্ষ থেকে গ্রেট স্যালুট !
যেখানেই যাবেন, যেমনি থাকেন – মাকে ফোন দিবেন ; প্রতিদিন দিবেন, না ধরলে চার্জ করবেন , একটু খবরদারি করলে মন্দ হবে না | আমাদেরকে সারাজীবন শাসন করেছে , এইবার আমার আপনার পালা !! ঘড়ি ধরে জিজ্ঞেস করবেন – ভাত খেয়েছে কিনা ? আজকের ওষুধ খেয়েছে কিনা ? ঈদের শাড়ি পড়েছে কিনা ? কোথাও বেড়াতে গিয়েছে কিনা ? কাউকে কিছু দিতে ইচ্ছে করছে কিনা ? কি পছন্দ , কি ইচ্ছা ? জন্মের পর থেকে একদম আজকের দিন পর্যন্ত্য তাঁর খবরদারির তাঁর শাসনের মায়াজালে থেকে আসুন, মাকেও সেইভাবে ভালবাসি | হ্যাপি মাদার্স ডে |