আমার পঁচিশ বছরের বিজনেসে কনসালটেন্সি ওয়ার্ল্ডে আজকে সেরা অর্জন !ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ড-এর নমিনেশনে অক্সফোর্ড ক্লাবের উদ্যোগে ” Youth Counselling & Empowerment ” ক্যাটেগরিতে আমি একমাত্র প্রথম বাংলাদেশি যে এই দুর্লভ এক্সক্লুসিভ এওয়ার্ডটি অর্জন করেছি | আজকে আমি ভীষণভাবে আনন্দিত ও খুশিতে উদ্বেলিত যে , আমার এই পঁচিশ বছরের বিজনেস জার্নি বিফলে যায়নি | অনেক সাহস করে আমি এই পুরস্কার প্রাপ্তির জন্যে আবেদন করেছিলাম ; তারপর একদিন কল এলো সুদূর অক্সফোর্ড থেকে | আমার ইন্টারভিউ নিতে চায় অনলাইনে | আমি তো বাকরুদ্ধ | বাসা কিংবা অফিসে কাউকে কিছু বলিনি | জুমে আধা ঘন্টার ইন্টারভিউ দিলাম | তাঁরা বললো , আমাকে জানাবে | আমার অনেক ডকুমেন্টস নিলো , অনেক সার্টিফিকেট , আমার সিভি , অনেক রিকগনিশন নিলো | একদিন সত্যি সত্যি ইমেইল আসলো , তাঁরা আমাকে নির্বাচিত করেছে | অক্সফোর্ডের অনেকগুলো এওয়ার্ডের মধ্যে আমি নাকি এই ক্যাটেগরিতে পারফেক্ট | আমি কোনভাবেই নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না | তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাউন্সেলিং করে তাদেরকে মোটিভেট করতে আমি নাকি দারুন পাকাপোক্ত সিদ্ধহস্ত ! তাঁদের ভিতরের এমপাওয়ারমেন্ট জাগিয়ে তুলতে আমি নাকি রিয়েল মেন্টর | আমাকে জিজ্ঞেস করলো – তুমি পুরস্কার কোথায় নিতে চাও ? ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ডের ক্যাম্পাসে নাকি সিঙ্গাপুরের হিল্টন অর্চার্ড হোটেলে , যেখানে আমরা এশিয়ার আরো নয়জনকে এই পুরস্কার দিবো ? আমি বললাম, সিঙ্গাপুরেই নেবো | আমার খুশি ও ধৈর্য্যের বাঁধ ডিসেম্বর পর্যন্ত্য ধরে রাখা মুশকিল | আমার ইংল্যান্ডের ভিসার মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত্য ! আমি ইচ্ছে করলে লন্ডনে গিয়ে নিতে পারতাম | আমি চেয়েছি , এই খুশির খবরটি আমার বন্ধু বান্ধব , আমার প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী , আমার সকল শুভাকাঙ্খী সকলেই আমার মতন তাড়াতাড়ি পেয়ে যাক | আর সেইজন্যেই সিঙ্গাপুর | আমার অফিসার আদিবকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে হাজির ৩রা অক্টোবর, প্রোগ্রাম অক্টোবরের চার তারিখ সন্ধ্যা সাতটায় | আমাদের জন্য হিল্টন হোটেলেই থাকার ব্যবস্থা করেছে অক্সফোর্ড ক্লাব | দারুন গোছানো আয়োজন | প্রাণবন্ত উপস্থাপনা | আমাকে নিয়ে প্রায় এক মিনিটের প্রতিবেদন | আমি তো হতবাক ! আমার ব্যাপারে তাঁদের গোছানো স্কিল প্রেজেন্টেশন শুনে আমি নিজেই বিস্মিত | এইজন্যই তাঁরা ব্রিটিশ ! বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিদেশী স্কলার ও নামি-দামি ইউনিভার্সিটির ফ্যাক্যালটি মেম্বার , প্রফেসর ও প্রফেশনাল পার্সোনালিটির ভিড়ে অন্যরকম ক্ষুদ্র একজন মানুষ মনে হচ্ছিলো নিজেকে | আমার জীবনের অনেক অর্জনের মধ্যে আজকের এই দিনটি স্বর্ণের অক্ষরে লেখা থাকবে | আমার এই অর্জনের পিছনে সবচেয়ে যাঁর বেশী অবদান সে হচ্ছে আমার লাইফ-পার্টনার অনসূয়া চক্রবর্তী , যে অনেক ধৈর্য্য ধরে আমার সাথে এতটা বছর আমার সঙ্গে হেঁটে চলেছে | ওর কাছে আমি কৃতজ্ঞ | সেকেন্ড- আমার ছেলে অর্ণব ! যে বিদেশে পড়াশোনা করলেও বাবার এই বিজনেসের প্রতি দারুন ভালবাসা ও কেয়ারিং , যা আমাকে প্রতিদিন মুগ্ধ করে | যে নিজেই এখন শা এসোসিয়েটসের একটি অমূল্য পার্ট ! এরপর আমার অফিসার বাপন সাহা, মনোজিৎ দাস ও শেখ মো: হানিফ ! যে তিনজন অফিসার নানান প্রতিবন্ধকতা ও শত প্রতিকূলতার মধ্যেও আমার সাথেই হেঁটে চলেছে তেরো বছর ; যে তিনজনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ডেডিকেশন আজকের এই শা এসোসিয়েটস ! এরপরে আমার বর্তমান সকল অফিসার বিশেষ করে আদিব, পারভেজ, রেজাউল, হাসিব, আবির , রাফি , নাশিদ ও ফিন গোস্বামী | প্রতিটা অফিসার আমার সম্পদ ! সবশেষে আমার এই অর্জনের পিছনে মূল চালিকাশক্তি আমার প্রিয় ছাত্র-ছাত্রী , যাঁরা আমাকে বিশ্বাস না করলে ও আস্থা না রাখলে আমি সুপ্রিয় আজকের এই আওয়ার্ডটি পেতাম না | ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্ডের এই ইন্টারন্যাশনাল রিকোগনিশন আমার এই জনমেও পাওয়া হতো না ! আমি সকলের কাছে নতমস্তকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি | এই খুশিতে আগামীকাল আমেরিকা ঘুরতে যাবো | আমাকে বরণের জন্য প্রস্তুত আমার অফিসার বাপন , মনোজিৎ , মুরাদ ভাই , শরীফ, ইমন , সায়ীদ ও রাহুল ! চিয়ার্স !!—– সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী- প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা , শা এসোসিয়েটস এন্ড শা এলিট ট্যুরস |
SA Associates | Embassy of the Global Citizen