L O A D I N G

মায়ের কাছে চিঠি লেখা: ফলাফল

আমরা অত্যন্ত দুঃখিত, মর্মাহত, ব্যথিত এবং আশ্চর্য্যন্বিত! আমরা খুবই আশায় ছিলাম, যখন দেখলাম আমাদের এই পোস্টে (মায়ের কাছে চিঠি লেখা) প্রায় ৫৩০০০ লাইক পড়েছে, প্রায় ২০০ জন সেই পোস্ট শেয়ার করেছেন, এবং ২৫৫ জন ইউজার প্রশংসাসূচক কমেন্টস করে পেইজকে ভরে ফেলেছেন। আমরা আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছিলাম, এই ভেবে যে এই বুঝি চিঠির হিড়িক আসবে। বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ডাক বিভাগের পোস্টম্যান এসে আমাদেরকে চিঠির স্তুপ জমা দেবে। কিন্তু আমাদের সকল আশা-ভরসা জলে ভেসে গেছে। আমরা ভাবছি, ফেসবুকে আমাদের ইয়ং জেনারেশন সারাদিন কি পড়ে? তারা ফেসবুক ব্রাউজ করে কি শেখে? তারা সারাদিন এই ফেসবুকে কি জ্ঞান অর্জন করে? তারা কিসের এতো ব্যস্ত? ইউটিউবে তারা কি ভিডিও দেখে? আমরা সত্যি অবাক হয়েছি!! মাত্র চারটি চিঠি আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে! যেগুলো এসেছে, সেগুলো তেমন কোনো মানের চিঠি নয়! দায়সারা লেখা! কাগজের ঠিক নেই, লেখার মধ্যে কোনো সৌন্দর্য্যবোধ নেই! সবছিলো গা ছাড়া ভাব। আমরা সত্যি হতাশ! ইয়ং জেনারেশনের এই কিছু না লেখার কিছু না শেখার কালচারে সমাজে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়বে, সেই সময় বেশী দূরে নয়! ফেসবুকের যে কোনো পোস্টে আজেবাজে কমেন্টস লিখতে কারো তুলনা হয় না, তখন অনেক সময় হয়! অথচ মায়ের কাছে চিঠি লেখার সময় হয় না! এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়, হতে পারে না! আমরা এই চারজনের চিঠি থেকে একজনকে একটি পুরস্কার দিতে সম্মত হয়েছি। সেটা হলো তৃতীয় পুরস্কার! আমাদের কাছে প্রথম বা দ্বিতীয় পুরস্কার পাওয়ার মতো কোনো চিঠি আসেনি। দুঃখিত, আমরা হতাশ, আমরা ব্যথিত। — শা অ্যাডমিন ম্যানেজার

তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন;
ফাতিহা জাহান উর্মি
মেসার্স মুক্ত ম্যাডিকেল হল
সদর রোড, দশমিনা, হাসপাতাল গেট
পটুয়াখালী।

(ধন্যবাদ মিস উর্মি, আপনার সাথে যোগাযোগ করে পুরস্কারের টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে)

Leave a Comment