আমার অনেক বড় একটা জার্নালিস্ট ফ্রেন্ড সার্কেল আছে | আমি যখন রুশ দূতাবাসে জব করতাম, তখন থেকেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আমার সখ্যতা | বিশেষ করে যাঁরা শিক্ষা ও বিনোদন পাতা নিয়ে কাজ করতেন তাঁদের সঙ্গে | আমার সেই বন্ধুত্ব এখনো আছে | এইতো সপ্তাহ খানেক আগে আমার অফিসে সংবাদের শিক্ষাপাতা নিয়ে যিনি কাজ করেন, তিনি এসেছিলেন | নাম ওলিয়ার রহমান | আমার সম্প্রতি প্রকাশিত বই ” আপন ভাবনা ” নিতেই আসা | আমি বলেছি , রোজার আগে আসুন, একসঙ্গে কফি খাবো | ওলিয়ার ভাই অতি সহজ সরল একজন মানুষ | এই মন-মানসিকতার মানুষগুলো আমার চারপাশে খুব প্রয়োজন , আমি সেই সম্পর্কগুলো যে কোনো কিছুর বিনিময়ে টিকিয়ে রাখি | কফির পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে উনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন- দাদা , আপনার এই প্রফেশনের প্রতি এতো মায়া, দুর্বলতা , ডেডিকেশন কেন ? আপনার সঙ্গে যাঁরা ব্যবসা শুরু করেছিলেন, তারা তো অনেকেই নানান ব্যবসায় ঢুকে গেছে | আপনি সেই এক বিজনেস নিয়েই পড়ে রইলেন |
আমি তখন আমার আলমিরা থেকে এই ইমেজের দুটো জিনিস বের করে দেখালাম ( জমজমের পানি আর সুগন্ধি ), আর ফ্রিজ থেকে কাঁচা খেজুর | আরেকটা জিনিস ইমেজে নেই, সেটা হলো জায়নামাজ | আমার স্টুডেন্টসের মা-বাবারা যখনই হজ করতে কিংবা ওমরাহ করতে মক্কা শরীফ কিংবা মদিনায় যান; আমার জন্য এই মহামূল্যবান উপহার নিয়ে আসেন | এটা আমার কাজের প্রতি ভালবাসা ও দ্বায়িত্ববোধের পুরস্কার | কত ক্লায়েন্টস যে আমার অফিসে নামাজ আদায় করেছেন, সেটার কোনো হিসেবে নেই ওলিয়ার ভাই | এই ভালবাসাটার জন্যেই এই পেশায় রয়ে গেছি | এই বিশ্বাস ও আস্থার জন্যেই আজকের এই শা এসোসিয়েটস | আমাকে এই উপহারের মূল্যটা মাথায় রেখেই আমার বিজনেস পরিচালনা করতে হয় | সফলতা লাভের জন্য দশটা বিজনেস উইং খোলার দরকার হয় না !
সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা || — সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী, সিইও, শা এসোসিয়েটস এন্ড শা এলিট ট্যুরস |