আমাদের কাছে অনেক স্টুডেন্ট আসেন, যাঁরা ব্রিটেন, মালয়েশিয়া , ইন্ডিয়া , ইতালি , আমেরিকা , অস্ট্রেলিয়া ও সাইপ্রাসের মতো দেশ থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি করে এসেছেন ; কিন্তু দেশে ফেরার সময় ওই দেশের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স আনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি | পরিবারের প্রিয় মানুষগুলোর জন্য ছোট-খাট অনেক শপিং করতে ভুলেননি, কিন্তু ভুলে গেছেন অতি প্রয়োজনীয় এই ডকুমেন্টটি কালেক্ট করার কথা !
আপনি একটা জিনিস মনে রাখবেন, ছয় মাসের বেশি আপনি কোনো দেশে বসবাস করলেই আপনাকে ওই দেশ ত্যাগ করবার আগে ” পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ” টা কালেক্ট করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ ! বেশিরভাগ দূতাবাসে ভিসা আবেদনের সময় এই কাগজটি একটি ম্যান্ডেটরি ডকুমেন্ট হিসেবে উল্লেখ থাকে | কারণ, ওই পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, আপনি দীর্ঘ সময় ওই দেশে বসবাসের সময় কোনোরকম সোশ্যাল ক্রাইম, এবিউস , ট্রাফিক রুলস ব্রেক , কোনো রকমের সংঘাত , এক্সিডেন্ট অথবা ভায়োলেন্সের সাথে আপনি জড়িত ছিলেন কিনা ? কারণ, সেই দেশের পুলিশ বাহিনী আর যাই করুক, এক হাজার ডলার ঘুষ খেয়েও আপনাকে ক্লিয়ার নির্ভেজাল রিপোর্ট দিবেন না , যদি আপনার মধ্যে কোনোরকম অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এমন কিছু দেখেন বা পান !
অতএব, বিদেশে অবস্থানকালীন নিজেকে বাংলাদেশের অমুক তমুক চাচা বা মামার কিংবা বড়ভাইয়ের রেফারেন্স নিয়ে চলার অপচেষ্টা করবেন না ! বিপদ আপনারই হবে ! আপনার ফিঙ্গার প্রিন্টের হিস্ট্রি এক্সচেঞ্জ অনেক দেশের কূটনৈতিক পলিসির চুক্তির আওতায় ! আপনি চাইলেই মিথ্যা বলে পার পাওয়ার সুযোগ নাই ! সুতরাং, বিদেশে থাকবেন , অতি ভদ্রভাবে সুন্দর হয়ে দেশের কথা মাথায় রেখে , সোসাইটির কথা মনে রেখে জীবন-যাপন করবেন !
যে পারপাসেই যে কোনো দেশে ছয় মাসের বেশি থাকলে নিজ দেশে ফেরত আসার সময় অবশ্যই আপনার নামে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেপার সঙ্গে নিয়ে তবেই ফ্লাইটে উঠবেন ! —- শা অ্যাডমিন ম্যানেজার