গতকাল উত্তরার এক অভিজাত হোটেলে সুন্দর একটা ফ্যামিলি প্রোগ্রামে আমাকে যেতেই হলো | প্রিয়নজিতা চক্রবর্তীর ফেয়ারওয়েল পার্টি | আমি সাধারণত কোনো ছাত্র-ছাত্রীর দেওয়া গেট-টুগেদার পার্টিতে যাই না | কিন্তু প্রিয়নজিতার জন্য যেতেই হলো, কারণ ও আমাদের ঘরের মেয়ে , অসম্ভব মেধাবী একজন ছাত্রী | আমার মনে হয় শা এসোসিয়েটসের টপ টেন স্টুডেন্টদের লিস্টে প্রিয়নজিতার স্থান হবে পাঁচের মধ্যে ! দ্যা আগা খান স্কুল থেকে দশটি সাবজেক্ট নিয়ে ও’লেভেল ( সবগুলোতেই A* ) ; এবং এ’লেভেলর চারটি সাবজেক্টেই A* !! IELTS -এ 8.0 | এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিস তো আছেই , দেশ বিদেশ ঘোরা হয়েছে এই সোশ্যাল কার্য্যক্রমের কারণেই | বাবা মা দুজনেই ডাক্তার | এ’লেভেল রেজাল্ট বের হবার পরই আমার বাসায় এসে হাজির | কথা একটাই, পিষু, তোমার হাত ধরেই কানাডা যাবো | এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়বো |
নিজের মানুষের জন্য কাজ করা অনেক বড় একটা দায়বদ্ধতা ও বিশ্বাসের মূল্য দেওয়া | আমি সানন্দে প্রিয়নজিতার ফাইল তুলে নিলাম ……কার্লেটন ইউনিভার্সিটি এমন মেধাবী স্টুডেন্ট হাতছাড়া করতে চায়নি, তাই সব কিছুই হয়ে গেলো পরিকল্পনামতো | কাল স্যুপের বাটিতে চুমুক দিতে দিতে প্রিয়নজিতাকে বললাম …” ভবিষ্যতের বাংলাদেশে তোমাকে বিমান মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই | কেন কয়দিন পর পর হজ্বের সময় বিমানের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে যায়….সেটা আমার জানা খুব দরকার | ”
প্রিয়নজিতা শুধুই হাসলো | এই হাসি নির্মল ও অমলিন ….থাকুক আশীর্বাদে চিরদিন ||
———– সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী , সি.ই.ও , শা এসোসিয়েটস