১. যে কোনো এজেন্সিতে ফাইল জমা দিয়েই ভিসা পেয়ে যাবেন , এই নিশ্চয়তা নিয়ে অন্যান্য কাজ-কর্ম ছেড়ে দিবেন না |
২. ভিসা পাওয়ার ১০০% কনফিডেন্স থাকলেও আগে থেকে ” কানাডা বা আমেরিকা চলে যাচ্ছি, দোয়া করিস বন্ধু ” এই জাতীয় লেখা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো পোস্ট দেবেন না |
৩. কোনো রকম ব্লগ বা ফোরামে নিজের আদি-বৃত্তান্ত দিয়ে অজানা অদৃশ্য লোকের পরামর্শ ও উপদেশ গ্রহণ করে পরে নিজেই রিফিউজ্ড লেটার হাতে নিয়ে ঘুরবেন না |
৪. ফাইল জমা দেবার আগে ভিসার কোনো নিশ্চয়তা না থাকা সত্বেও বাবা-মায়ের কোনো কষ্টার্জিত সম্পদ লসে বিক্রি করে ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে বলবেন না |
৫. ভিসা হয়ে যাবে, চলেই যাচ্ছেন এই’রকম মানসিকতা পোষণ করে বাসায় বা মহল্লায় ডিজে পার্টি , হৈ-হুল্লুর করবেন না ; ঘটা করে ফেয়ারওয়েল নিয়ে নিবেন না |
৬. অসমাপ্ত লেখাপড়ার পাট চুকিয়ে বিদেশ যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে নিজের ক্যারিয়ারে অহেতুক স্টাডি গ্যাপ তৈরী করবেন না |
৭. ভিসার জন্যে ফাইল জমা দিয়ে বর্তমান চাকুরী থেকে ইস্তফা নেওয়া বা আর চাকরি করবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া — এ’ধরণের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিবেন না |
৮. যেসকল গ্র্যাজুয়েট স্টাডিস এপ্লিকেন্ট ভিসা জমা দিয়ে সন্তানদের রানিং লেখাপড়ায় আলসেমি করছেন , বা গা-ঢিলা ভাব নিয়েছেন ‘ অথবা স্পাউসের চলমান শিক্ষা বা চাকুরী থেকে ইস্তফা নিতে ফোর্স করছেন , আমরা বলবো —এ’জাতীয় ইমম্যাচিউর্ড কাজ-কারবার থেকে নিজেকে বিরত রাখুন |
৯. যে কোনো দূতাবাস বা হাইকমিশনের চলমান ভিসা প্রক্রিয়াকে ( অনেক ভিসা হচ্ছে , এধরণের সিনারিও ) বিশ্বাস করে হুট্ করে নিজের ফাইল জমা দিতে প্রস্তুতি নিবেন না | ভালো করে জেনে শুনে তারপর অগ্রসর হউন |
১০. ল্যান্ডিং এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন সম্মন্ধে ভালো করে না জেনে না বুঝে অন্যের কথায় কোনোকিছুকে হালকাভাবে নিয়ে পরে বিপদে পড়বেন না |
আমাদের শেষ কথা , বিদেশ বিদেশ করে ভিসা ভিসা করে ভুল-ভাল সিদ্ধান্ত নিয়ে হোঁচট খেয়ে চোট পেয়ে পরে হাসির পাত্র হবেন না | যারা আপনার দেওয়া খাবারের পার্টিতে এসে হেসে হেসে বিরিয়ানি খেয়েছিলো, সেই তারাই আপনার যাওয়া না হলে পিছনে আবার অট্টহাসি হাসবে , উপহাসের হাসি | এটাই সত্য ও অভিজ্ঞতা ! সাধু সাবধান !!