L O A D I N G

কানাডায় উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত কয়েকটি জরুরী আলোচনা!

ম্যাপেল পাতার সুন্দর একটি দেশ কানাডা, যার রয়েছে দশটি প্রদেশ এবং তিনটি অঞ্চল। রাশিয়ার পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হলো কানাডা। এটি একটি দ্বিভাষিক দেশ, যার প্রধান দুটি ভাষা হলো ইংরেজি এবং ফ্রেঞ্চ।

কানাডা একটি বহুসংস্কৃতি সম্পন্ন দেশ। উন্নতমানের জীবনযাপন এবং বিশ্বমানের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য বিশ্বের সেরা স্থান গুলোর মধ্যে একটি বলে গণ্য করা হয়। কানাডায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সংখ্যা অসংখ্য। বরং বলা যেতে পারে যে, বিশ্ববিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো সমগ্র কানাডার বিভিন্ন অংশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।

প্রতি বছর কানাডা সরকার প্রায় ২৫০,০০০ – ৩০০,০০০ আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীকে কানাডার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি গুলোতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ দিয়ে থাকে এবং সেই সাথে পড়াশুনা শেষ করে সেখানেই যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ এবং বসবাসের সুবিধা দিয়ে থাকে। এবং এই কারণেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের কাছে এটি একটি আকর্ষণীয় দেশ। বিগত কয়েক বছর ধরে দেশের বহু ছাত্রছাত্রী কানাডার বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি গুলোতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য পারি জমাচ্ছে।

UN এর তরফ থেকে সম্প্রতি কানাডা কে বিশ্বের সেরা স্থান গুলোর মধ্যে একটি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। এবং এই মূল্যায়ন করা হয়েছিল – উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য এবং সঠিক পরিবেশ, উচ্চমানের জীবনযাত্রা, জাতীয় এবং প্রত্যেকের মাথাপিছু আয়, ইত্যাদির উপরে।

#শিক্ষা ব্যবস্থা: কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি গুলো থেকে আন্ডার গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট, PGD ডিপ্লোমা এবং পিএইচডি কোর্স করবার সুবিধা রয়েছে। এছারাও রয়েছে ডিসটেন্স লার্নিং, কো-অপারেটিভ এডুকেশন, কন্টিনিউইং এডুকেশন এবং স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এর মতো সুযোগ সুবিধা। ছাত্রছাত্রীরা চাইলে ফুলটাইম অথবা পার্ট টাইম দুই ভাবেই পড়াশুনা করতে পারে। পড়াশুনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করবার সুবিধা রয়েছে এবং এর জন্য আলাদা করে কোনো অনুমতি বা ওয়ার্ক পারমিট এর দরকার পরে না। এছাড়াও রয়েছে স্কলারশিপ এর সুযোগ। কানাডার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি গুলো শিক্ষাগত যোগ্যতার নিরিখে ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।

#ভাষা: কানাডার প্রায় সব ইউনিভার্সিটি গুলোতেই ইংরেজি এবং ফ্রেঞ্চ – এই দুইটি প্রধান ভাষায় পড়াশুনা করা যায়। তবে সংশ্লিষ্ট ভাষায় ছাত্রছাত্রীদের যথেষ্ট জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। ভর্তির শুরুতেই ভাষার ওপর দক্ষতা যাচাই করার জন্য IELTS বা TOEFL স্কোর এর প্রয়োজন হয়। যেমন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পোস্ট গ্রাজুয়েশন কোর্স করবার জন্য নূন্যতম ৬.৫ IELTS স্কোর এবং আন্ডার গ্রাজুয়েশন এর জন্য নূন্যতম ৬ IELTS স্কোর এর প্রয়োজন। এছাড়া বিজনেস শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে GMAT এ ভালো স্কোর থাকা প্রয়োজন।

#পড়াশুনার বিষয়: কানাডার অধিকাংশ ইউনিভার্সিটি গুলোতে আন্ডার গ্রাজুয়েট এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট – সব মিলিয়ে প্রায় ১৩ হাজার এর ও বেশি বিষয় রয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো – বায়োলজি, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, কম্পিউটার সাইন্স, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কনস্ট্রাকশন এন্ড রিসোর্সেস, এগ্রিকালচার, ইকোনোমিক্স, ফুড সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স এন্ড সার্ভিসেস, মেরিন এফেয়ার্স, এপ্লায়েড জিওগ্রাফি, ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, হিস্ট্রি এন্ড রিজিওনাল ইংলিশ ইত্যাদি।

#ইউনিভার্সিটির খরচ: পড়াশুনার খরচ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি গুলোর উপরে নির্ভর করে। ছাত্রছাত্রীদের পছন্দের বিষয় এবং ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটির ফ্যাকাল্টি এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা – এই সব বিষয় গুলোর নিরিখে পড়াশুনার খরচ এক একটি ইউনিভার্সিটিতে এক এক রকম। তবে গড় হিসাবে বলা যেতে পারে – আন্ডার গ্রাজুয়েট পর্যায়ে বছর প্রতি আনুমানিক ৭ – 20 হাজার ডলার এবং পোস্ট গ্রাজুয়েট পর্যায়ে আনুমানিক ৬ – ১৪ হাজার ডলার এর মতন খরচ হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, পড়াশুনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করবার সুবিধা থাকায় ছাত্রছাত্রীরা কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরেই বা বাইরে পার্ট টাইম জব করে টিউশন ফি এর পুরোটা বা অধিকাংশটুকু নিজেরাই সংগ্রহ করতে পারে।

#যেভাবে আবেদন করবেন: কানাডায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হলে প্রথমেই আপনাকে আপনার পছন্দের ইউনিভার্সিটি টি ঠিক করতে হবে। এ ব্যাপারে আগে থাকতে খোঁজখবর নেওয়া ভালো। আপনি যে বিষয় নিয়ে পড়তে চান তার উপর নির্ভর করে পছন্দের ইউনিভার্সিটি গুলোর একটি তালিকা তৈরী করুন এবং খোঁজ খবর নিন। আগেই বলেছি এক একটি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনার খরচ এক একরকম। তাই এই ব্যাপারে আগে থাকতে খোঁজখবর নেওয়া প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট ইউনিভার্সিটিগুলোর ওয়েবসাইট ঘটলেই এই ব্যাপারে জানতে পারবেন।

এছারাও প্রয়োজন IELTS বা TOFEL স্কোর। মনে রাখবেন ভিসার আবেদন বা ইউনিভার্সিটির Acceptance Letter পাওয়ার ব্যাপারে IELTS এর উপযোগী আর অন্য কিছু নেই। তাই চেষ্টা করুন IELTS এর প্রতিটি ব্যান্ড এ ভালো ফলাফল করবার।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি গুলোতে একাডেমিক বছর সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় এবং মে মাসে শেষ হয়। বছরে দুটি সেমেস্টার থাকে – সেপ্টেম্বর বা ফল সেশন এবং জানুয়ারি বা উইন্টার সেশন। আপনি চাইলে যেকোনো একটি সেমেস্টার এর জন্য আবেদন করতে পারেন, তবে আবেদন এর প্রক্রিয়া অন্তত ৭-৮ মাস আগে শুরু করা প্রয়োজন। কয়েকটি বিষয়ে অবশ্যই অবগত থাকা প্রয়োজন, যেমন –

1. কিভাবে ফর্ম Fill-up করবেন, ২. স্টাডি প্ল্যানটা কিভাবে লিখলে ভালো হয়, 3. কভার লেটার এর ধরণটা কেমন হলে ভিসা কনসুলার পড়ে খুশি হবেন , 4. আপনার স্পনসর এর কি কি কাগজ কিভাবে জমা দিলে ভিসা কনসুলারের বুঝতে সুবিধা হবে, 5. ব্যাঙ্ক সাপোর্ট ( এডুকেশন লোন ) কিভাবে নিতে হয়, কতদিনের জন্য নিলে ভালো হয় – ইত্যাদি।

মনে রাখবেন আপনার সামান্য একটি ভুল এক মুহূর্তে আপনার বহুদিন এর স্বপ্নকে ভেঙে চুরমার করে দিতে পারে। সুযোগ বার বার আসে না, তাই এই ব্যাপারে কোনরকম গুজবে কান না দিয়ে একজন অভিজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে এগোনোই ভালো।

তাই বলছি, আপনাদের মনে ভর্তি নিয়ে যে কোনোরকম প্রশ্নের জন্যে আমাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে নিজেরা এবং নিজেদের অভিভাবকদের আস্বস্ত করে রাখুন। একমাত্র শা এসোসিয়েটস এই রয়েছে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সুদক্ষ কনসালটেন্ট। আমরা আপনাকে আপনার সঠিক পথটি বেছে নিতে সাহায্য করবার জন্য বদ্ধপরিকর।

আজই আমাদের অনলাইন ফর্মটি ফিলাপ করুন এবং আমাদের একজন সুদক্ষ কনসালটেন্ট অতিসত্তর আপনার সাথে যোগাযোগ করবেন।

আবেদন করুন  https://goo.gl/73cKxg
আবেদন করুন  https://goo.gl/73cKxg

আজ এটুকুই। সবাইকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা রইলো। ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।

Leave a Comment