আমি প্রথমবার কানাডায় যাই ২০০৫ সালের ১৬ই অগাস্ট | প্রথমবার গিয়েই আমার প্রথম ইচ্ছে হলো, কানাডার খ্যাতনামা ইউনিভার্সিটি , কলেজ গুলো ঘুরে দেখা । শিক্ষার আঁতুরঘর বলে সুপরিচিত টরোন্টোর অনেক ইউনিভার্সিটি , কলেজ ক্যাম্পাস ঘুরেছি । কুইবেক, ভ্যাঙ্কুভারে গিয়েছি । তখন হয়তো মোবাইলে রান্ডম ছবি তোলার অপশন ছিল না ! ছাত্র-ছাত্রী কাউকে রিকুয়েস্ট করে ছবি তুলতে হয়েছে । আজ সেইসব ছবি আমার কাছে অনেক মূল্যবান ।
১৯৯৮ সালের শুরুতে সেই সময়ে আমি যখন কানাডায় স্টুডেন্ট পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করি, তখন খুব কম অভিভাবক এসে এ’ব্যাপারে সাড়া দিতো; কারণ দূরত্বটা একটা ফ্যাক্টর ছিল । সবার ধ্যান-জ্ঞানে ছিল আমেরিকা ও ব্রিটেন । আর আজ ২০১৯ সালে সকলের পছন্দের শীর্ষে দেশ কানাডা । তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে আছে শিক্ষা শেষে নাগরিকত্ব , নিরাপত্তা , জব মার্কেট ও নিশ্চিন্ত ভবিষ্যৎ ; যা এখন অনেক দেশেই অসম্ভব একটা বিষয় । কিন্তু এখন কানাডায় উচ্চ শিক্ষা নিয়ে ফেসবুকে সেন্সরবিহীন নামে-বেনামে ব্যাঙের ছাতার মতো বিভিন্ন অফিসের পোস্ট অনেককেই বিভ্রান্ত করছে , যা খুবই দুঃখজনক । কানাডায় উচ্চশিক্ষার ব্যাপারটাকে অনেকেই এখন মালয়েশিয়া , চায়না ও সাইপ্রাসের মতো করে ফেলছেন । সেইজন্যই আমাদের দেশকে বলা হয় সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ ।
শুক্র-শুক্রে আটদিন হবে; এমনসব অফিস আছে ব্যবসা শুরু করেছে — সেই তারাই যদি এখন বলে কানাডার উচ্চ শিক্ষার জন্যে ” তারাই বেস্ট ” ; আমার হাসি ছাড়া কিছুই আসবে না । ধীরে বন্ধুগণ, ধীরে !!! সাফল্য এতো তাড়াতাড়ি ধরা দিবে না ; কানাডায় উচ্চ শিক্ষা নিয়ে শা এসোসিয়েটস এ’যাবৎ যতগুলো সেমিনার , মেলা , স্পট এডমিশনের আয়োজন করেছে ; অনেকে বোধহয় এখন শুরু করলেন মাত্র । সাফল্যের কথা বাদই দিলাম !! বিশ্বে যতগুলো দেশ আছে, তার মধ্যে কানাডায় উচ্চশিক্ষার প্রসেস, সিস্টেম অন্যান্য দেশের তুলনায় একটু ভিন্ন রকম । খুব সতর্কতার সাথে নিজের একাডেমিক ক্যারিয়ার , এডুকেশনাল ব্যাকগ্রাউন্ড, ফিউচার প্ল্যান , ফাইনান্সিয়াল ক্যাপাবিলিটি এইসব বিষয় মাথায় রেখে অনেক লম্বা সময় হাতে নিয়ে কানাডায় উচ্চশিক্ষার জন্যে এগোতে হয় । এই দেশ নিয়ে কাজ করাটা এতো সহজ কিংবা মুখের কথা নয় ! কতিপয় বি’গ্রেড, সি-গ্রেড মার্কা ইউনিভার্সিটি বা কলেজের রিপ্রেজেন্টেটিভ হয়ে গেলেই বড় কোনো ফার্ম হয়ে গেলাম , সেটা ভাবার কোনো কারণ নেই !!
আমি আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী তাদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজ অনুসারে সাবজেক্ট , ফিল্ড অনুযায়ী তাকে ভর্তি এবং ভিসা করে দিতে পারলাম কিনা , সেটাই মুখ্য বিষয় । আমাদের এখনকার স্মার্ট ডিজিটাল এক্সপার্ট স্টুডেন্টসরা ঐসব রিপ্রেজেন্টেটিভের ধার ধারে না ! তারা তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন চায়, তারা তাদের সাফল্য দেখতে চায় । পারিবারিক মন্ডলে বন্ধু মহলে সে নিজেকে স্কলার স্টুডেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় !! আর সেই কাজটা অতি যত্নের সাথে ১৯৯৮ সাল থেকে কানাডার খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সাথে যৌথ সমন্বয়ে নিরলসভাবে করে যাচ্ছে আমার শা এসোসিয়েটস, আপনাদের শা এসোসিয়েটস । প্রতি বছর তিনটি সেশনে প্রায় তিনশো স্টুডেন্টস পাঠিয়ে তৃপ্তির হাসি হাসতেই পারে আমার টিম ।
কারণ, আমাদের লোক দেখানো কোনো রকম এক্টিভিটিস নেই ; বাতাসে ফাউ গল্প দিয়ে শো-আপ করে শা এসোসিয়েটস ইনোসেন্ট ছাত্র-ছাত্রীদের স্বপ্ন নিয়ে গেম খেলে না ; ভবিষ্যতেও খেলবে না । ছাত্র-ছাত্রীরা তার ফিউচার গঠনে আমাদেরকে চায় একজন বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে , আর সেইজন্যই আমার অফিসিয়াল স্লোগান ” ইওর ড্রিম লাইফ পার্টনার ” !! ফিরে দেখা গল্পের আপাতত সমাপ্তি !! আগামী পর্বে নতুন কোনো বিষয় নিয়ে লিখবো । — সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী, সিইও
কানাডায় উচ্চশিক্ষা ও ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শের জন্য আমাকে হোয়াটসঅ্যাপ করুন এই নাম্বারে :
✅ WhatsApp: 01755227755