মায়ের পায়ের নিচেই সন্তানের বেহেশত ! এই পরম-শ্বাশত বাণীটা অন্তরে দারুণভাবে লালন করেন অনিক ভাই ! আহসানুল্লাহ থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে অনিক ভাই বিদেশে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত সার্ভিস নিতে প্রথম যেদিন উনার অসম্ভব গর্জিয়াস মাকে নিয়ে আমাদের অফিসে এসেছিলেন , তারপর যতদিন এসেছেন একদম ফ্লাই করার আগেরদিন পর্যন্ত্য মাকে সঙ্গে করেই এসেছেন | মায়ের প্রতি এই যে ভালবাসা , মাকে নিয়ে জীবনের একটা নতুন জার্নিতে সবসময় মাকে সঙ্গে রাখা, তাঁর দোয়া নিয়ে পথ চলা, তাঁর পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া —এই সবই হচ্ছে পারিবারিক শিক্ষার মূল্যায়ন | অনিক ভাইয়ের কাছ থেকে আমাদের অনেককিছু শেখার আছে | এমন সন্তান জন্মদানের জন্য ম্যাডামকে আমাদের শা টিমের পক্ষ থেকে গ্রেট স্যালুট ! আমাদের এই স্যালুটের তালিকা অনেক দীর্ঘ ! উইন্ডসরে অধ্যয়নরত পুত্রবধূ মেহনাজ তাবাস্সুম ম্যাডামের শ্বাশুড়ি সাঈদা আলমের যে দ্বায়িত্ববোধ — সেটা নিয়ে লিখতে গেলে আমাদের মাথা কুর্নিশ হয়ে আসে | সেই তালিকায় আছেন – সোমাইয়া হানিফ বারী ম্যাডামের সাথে আসা উনার ফুপু ; ফেয়ারলীগ ডিকিন্সন ভার্সিটিতে স্টাডিরত ফাতেমা হায়দারের মা রোকসানা ম্যাডাম ; কঙ্কন বণিকের জন্যে তাঁর কাকা কনক বণিকের যে ভালবাসা ও কর্তব্যনিষ্ঠা — আমাদেরকে সবসময় মুগ্ধ করেছে | আমরা যান্ত্রিক এই শহরের বেড়াজালে যতই আটকা থাকিনা কেন, দিনের শেষে মায়ের আঁচল, বোনের মিষ্টি ডাক , ভাইয়ের কেয়ারিং , বাবার টেনশন নিয়েই আমাদের সুখ ও শান্তির শেষ ঠিকানা ! সেখানেই আমাদের গভীর ভালবাসার জাল বিছানো ! এই জাল থেকে আমার আপনার কারো মুক্তি নেই ! এই জাল আপনি ছিন্ন করেছেন তো মরেছেন !!
অনিক ভাই আহসানুল্লাহ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে ভাবছিলেন — পিজিডি করবেন নাকি মাস্টার্স ? IELTS-এ স্কোর তুলেছিলেন 7.0 | সিইও স্যার পরামর্শ দিলেন — যদি ভার্সিটিতে পড়েন, তাহলে এক ধরণের প্রেশার ; আর যদি কলেজে পড়েন তাহলে আরেক রকম স্টাডি প্ল্যান ! অনিক ভাই কলেজে যেতে রাজি হলেন ! জর্জ ব্রাউন কলেজে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজির উপর পিজিডি করতে অনিক ভাই এখন টরোন্টোতে | ভবিষ্যতে পার্মানেন্ট রেসিডেন্স কার্ড পাওয়ার পর ইউনিভার্সিটি অফ টরোন্টোতে মাস্টার্স করবার স্বপ্ন অনিক ভাইয়ের | যাবার আগে সিইও স্যারের সাথে মাকে সহ এই ছবির মূল্য আমাদের কাছে ভ্যানগগ বা পিকাসোর মূল্যবান ছবির চেয়ে কোন অংশে কম দামী নয় !! — শা অ্যাডমিন ম্যানেজার