L O A D I N G

কংগ্র্যাচুলেশন্স রেহেনুমা রহমান রিতু | IELTS 6.5

[ *নবাবের পুত, উঠ কইলাম। পারা মাইরা চেটকায়ালাম
*হারাদিন উন্দুইয়া উন্দুইয়া মুবেল টিপস, পেট খারাপ অইতো না তে কি অইবো?
*দেখ ছে লবন অইসে নাহি?
*পড়বার ব কইলাম, ডিসের লাইন আজ্জাই কাইট্টা দেম
*চুলডি বাবরির মতো উড়াইতাসস ক্যা? আ তেল দে দেই।
*বান্দরের লাহান চুল রাখসস ক্যা? আজ্জাই সেলুনু যাইবে
* বিয়ার পরে জামাই লয়া ঘুরিস
*বিয়ার পরে বউ লয়া অত ঘুরাঘুরি কের?
বেহেরে আম্মা দিবসের ঠাডা পরা শুভেচ্ছা। মমিসিংগা আম্মারা ইট্টু বেশিই কিউট। না গো? ]

মায়া-ভরা, দিলে চোট লাগানো হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে বের হওয়া কিছু মাটির সংলাপ । আর এই কথাগুলো আমাদের প্রিয় একটি বিভাগ ময়মনসিংহের । সেই শহরের মেয়ে রিতু ম্যাডাম । আমাদের সিইও স্যারের বাড়ি-ও ময়মনসিংহে , তাই ময়মনসিংহের কেউ আসলে স্যার নষ্টালজিয়াতে ভুগেন । অফিসে কড়া নির্দেশ , ময়মনসিংহের কেউ আসলে যেন হাসি মুখ ছাড়া বের না হয় ! এর আরেকটি কারণ, ময়মনসিংহের মানুষ প্রচন্ডরকম বিদেশ বিমুখ । অল্পতেই তুষ্ট এই বিভাগের সহজ-সরল মানুষ রাজনীতির মারপ্যাচ বুঝে না । পড়ালেখা শেষ করে যদি একটা চাকরি মিলে যায় কিংবা পারিবারিক সূত্রে ব্যবসা , তাহলে ময়মনসিংহের ছেলেরা অযথাই বিদেশে গিয়ে কষ্ট করতে চায়না । শিক্ষার নগরী ময়মনসিংহ । সেই শহর থেকে উঠে আসা রিতু ম্যাডাম অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকুক । স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে ইংলিশে অনার্স করে রিতু ম্যাডামের মাস্টার অব এডুকেশনের উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিতে স্বপ্নদেখা শুরু । শা এসোসিয়েটসকে পেয়ে গেলেন কাকতালীয়ভাবে । কারণ, সিইও স্যারের বাড়ি ময়মনসিংহ হলেও সেখানে আমাদের কোনো অফিস নেই , এর কারণ গত চব্বিশ বছরে আমরা পাঁচজন স্টুডেন্ট-ও পাইনি ময়মনসিংহ থেকে ; এটা মনে হয় আমাদের দুর্ভাগ্য !!

রিতু ম্যাডাম আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে শেখালেন এই শহর নিয়ে । কানাডার স্বপ্নকে হৃদয়ে লালন করে প্রিয় হাজব্যান্ড ইশরার ইবতিসাম ভাইকে নিয়ে হাজির আমাদের কর্পোরেট অফিসে । সকল সনদের পাশাপাশি IELTS-এ স্কোর নিয়ে আসলেন 6.5 ।

বাকিটা সামলে নিয়েছেন আমাদের সিনিয়র কনসালটেন্ট বাপন স্যার । কানাডার প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটিতে পছন্দের সাবজেক্টে মাস্টার্স করতে ম্যাডাম ও ইশরার ভাই ( যিনি আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন ) এখন কানাডা যাবার জন্যে প্রস্তুত ।

[[ জীবনে যতবার পাসওয়ার্ড দিলাম, ততবার মনে হইসিন এই পাসওয়ার্ড আমি জীবনেও ভুলতাম না।
পরেরদিন বেইন্নাবেলাই টের পাই, আমার চেয়ে গাজনী সিনামার আমির খানের স্মৃতিশক্তি বেশি আছিন। হে শইল্লো মইল্লো লেইক্ষা থুইতো। আমার ত ওই লেইক্ষা থুইবারও মন নাই।
কিএক্টাবস্তা!! ]]

আমরা ম্যাডামকে কখনোই ভুলবো না । ময়মনসিংহের মেয়ে বলে কথা ।
ম্যাডাম, আপনাকে শা টিম ও সিইও স্যারের পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা , অভিনন্দন ও ভালবাসা !

Leave a Comment