L O A D I N G

কংগ্র্যাচুলেশন্স অপু কুমার ধর ও পিঙ্কি চৌধুরী | সিইও-র ডাইরি থেকে …

অপু আমার চট্টগ্রাম অফিসের রিজিওনাল ম্যানেজার ছিল ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত্য | এরপর নিজের ক্যারিয়ারকে নিয়ে গেলো ব্যাঙ্কিং সেক্টরে | অপু শা এসোসিয়েটস থেকে অফিসিয়ালি ছুটি নিলেও আমাদের সকলের হৃদয়ে একটা স্থায়ী আসন গেঁথে নিয়েছিল | এর প্রধান কারণ- পারিবারিক শিক্ষা , ভদ্রতা , কৃতজ্ঞতাবোধ , ওর ভিতরের সুশিক্ষার গাঢ়তা , অপুর সবসময় বিনয়ী মনোভাব আমাকে মুগ্ধ করে রেখেছিলো | আমি চট্টগ্রাম গেলেই অপু সবকাজ ফেলে আমার সাথে দেখা করতে চলে আসতো | অপুর মুখে সবসময় একটাই ডাক ছিল – Boss. অপু শুধু আমার সাথেই নয় , আমার প্রতিটা অফিসারের সাথে একটা চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলছিল | আমরা সবসময় ওর শুভাকাঙ্খি ছিলাম | আছি, থাকবো |

একদিন অপু ফোন করে জানালো – তার সহধর্মিনী পিঙ্কি চৌধুরী ফিনল্যান্ডে মাস্টার্স করতে চাচ্ছে | আমি বললাম – করো | তোমার যদি কোন হেল্পের দরকার হয়, জাস্ট আমাকে ইমেইল করো এবং যখন যা দরকার ফোন দিও | অপু ভিসা পাওয়ার আগপর্যন্ত্য যখন যা হেল্প চেয়েছে , আমি ও আমার টিম তাকে সার্বিক সহযোগিতা করেছি | অবশেষে সেই কাঙ্খিত সুখবর ও খুশির দিন এলো অপুর জীবনে | দিল্লীর ফিনল্যাণ্ড এম্বাসি তাঁদের ভিসা এপ্রুভড করেছে | অপু আমাকে ফোন দিয়ে জানালো তার সেই স্বপ্ন সফলের কথা |

অপুকে নিয়ে এই পোস্ট দেওয়ার কারণ হচ্ছে — আপনার মধ্যে কৃতজ্ঞতাবোধের মূল্য জাগিয়ে রাখা , জাগিয়ে তোলা ; যা আমরা কাজ শেষ হলে বেমালুম ভুলে যাই | এই চট্টগ্রাম অফিস থেকে কাজ করে মিস্টার ফোরকান আহমেদ আমেরিকার ভিসা নিয়ে চলে গেছে , কিন্তু যাবার আগে বলে যায়নি | মিস্টার সোহেল আহমেদ চাকুরীকালীন বিয়ে করে কানাডা চলে গেছে , সেখানে গিয়ে এডুকেশন কনসালটেন্সি ফার্ম-ও খুললেন ; কিন্তু যোগাযোগ রাখেন না ; কিংবা তার ফেসবুক প্রোফাইলে শা এসোসিয়েটসের নাম পর্যন্ত্য নেই | এই যে অকৃতজ্ঞতা , নিজের যোগ্যতার সাথে নিজের প্রতারণা , লুকোচুরি করে বেঁচে থাকা –আমাদের কাছে অচল পয়সার মতন মূল্যহীন | অনেকের ক্যারিয়ারের ল্যান্ডমার্ক ও ইউটার্ন হচ্ছে শা এসোসিয়েটস | অথচ – আমেরিকা ও কানাডায় নেমেই একেকজন হয়ে গেছে অঘোষিত মুসা বিন শমসের ! কিন্তু আমাদের কাছে অফিসিয়াল জব লেটার, তাদের ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ও সিভি এখনো এমপ্লয়ি রেকর্ড ফাইলে অতি সযতনে সংরক্ষিত আছে | সেগুলো অস্বীকার করবে কিভাবে ?

অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে সারা দুনিয়াতে বাঙালিদের একটা ভালো বদনাম আছে | অপু তাদের থেকে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম | আমরা অপুর মতন বন্ধুবৎসল , মানবিক গুণাবলী সমৃদ্ধ কৃতজ্ঞতায় ভরপুর সুন্দর চারিত্রিক মানসিক পারিবারিক সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই | অপু অনেকের কাছে উদাহরণ হিসেবে আইকন হয়ে থাকুক | শুধু সাবেক এমপ্লয়ি হিসেবে নয়, অনেক ছাত্র-ছাত্রী যারা আমাদের মাধ্যমে ভিসা পেয়ে আমেরিকা ও কানাডা যাবেন, তারাও অপুর কাছ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন – কেমন করে কৃতজ্ঞ থাকতে হয় কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে , কোন ব্যক্তির কাছে , একটি অফিসের টিমের কাছে ! ভিসা হওয়ার পরই আর এজেন্সি চিনি না , এই নোংরা মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন |

অপুকে অপুর সহধর্মিনী পিঙ্কিকে ও তার সন্তানকে রইলো আমার অনেক অনেক আশীর্বাদ ও দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা || — সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী, সিইও

Leave a Comment