“ভাইয়া আমি ইংরেজিতে দুর্বল। বিদেশে যেতে পারব তো?”
শা এসোসিয়েটস-এ আমার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় প্রশ্নটা আমাকে অনেকবার শুনতে হয়েছে।
অনেকেই IELTS পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করেছে কিন্তু প্রস্তুতি শুরু করতে ভয় পাচ্ছেন, ভাবছেন দুর্বল ইংরেজি দক্ষতা নিয়ে IELTS এ সফল হতে পারবেন কিনা। আবার অনেকেই আছেন, যারা অন্যদের কে ইংরেজি ভাষায় সাবলীল কথা বলতে দেখলে হিন্যমনস্ক বোধে ভোগেন, ভাবেন আপনি নিজে কখনও ওরকম ইংরেজি লিখতে বা বলতে পারবেন কিনা। আর এর থেকেই সৃষ্টি হয় ইংরেজি ভাষার প্রতি ভীতি।
তবে একটা কথা বলি, IELTS এ আপনি যদি সফল হবার লক্ষ স্থির করে থাকেন, তাহলে প্রথমেই আপনাকে ইংরেজি ভাষার প্রতি সকল ভীতি কাটিয়ে উঠতে হবে। আর এই ভীতি কাটিয়ে ওঠাটা কিন্তু খুব কঠিন একটা কিছু নয়! আমি বিশ্বাস করি, আমরা প্রত্যেকেই কম বা বেশি ইংরেজি জানি। হয়ত নিয়মিত চর্চার অভাবে কেউ কম বা বেশি দুর্বল হয়ে পরে।
আমি আগেও বলেছি, এবং বারে বারে বলব, IELTS এ সফল তথা ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হয়ে ওঠবার জন্য তা হোল নিয়মিত চর্চা এবং অনুশীলন। কথায় বলে –
“Practice makes a man perfect!”
মানুষ চেষ্টা করলে পারেনা এমন কিচ্ছু নেই। নিয়মিত চর্চা করলে অসাধ্য সাধন করা যায়, সেই তুলনায় ইংরেজি শেখাটা তো খুব সহজ ব্যাপার। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন এবং লক্ষ স্থির রেখে নিয়মিত ইংরেজি চর্চা শুরু করুন।
আসুন দেখে নেওয়া যাক নিজে নিজে ইংরেজি চর্চার কয়েকটি সহজ উপায় –
১. নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসঃ যেকোনো কিছু শিখতে গেলে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস থাকাটা খুবই প্রয়োজন। প্রথমেই মন থেকে সমস্ত ভীতিকর চিন্তা গুলো ঝেরে ফেলুন এবং দৃঢ় ভাবে বলুন, “আমি পারব। আমাকে পারতেই হবে!”
২. নিয়মিত চর্চাঃ ইংরেজি চর্চার জন্য আলাদা একটি খাতা তৈরী করুন, যেখানে আপনি নিয়মিত চর্চা করতে পারবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ Note নিতে পারবেন। মনে রাখবেন, নিয়মিত লেখবার অভ্যেস থাকলে, খুব সহজে এবং দ্রুত ইংরেজি ভাষা শেখা যায়। এ প্রসঙ্গে ডাইরি লেখবার কথা বলা যেতে পারে। আমাদের অনেকেরই ডাইরি লেখবার অভ্যেস থাকে। এই কাজটি যদি ইংরেজিতে করা যায়, তাহলে অনেক সহজে ইংরেজি শেখা যায়। হয়ত প্রথম দিকে ব্যকরনগত ভুল ত্রুটি হতে পারে, তবে রোজ যদি ১ – ২ ছত্র ইংরেজিতে ডাইরি লেখার অভ্যেস করেন, তবে কয়েকদিন পরে নিজেই বুঝতে পারবেন আপনা ইংরেজি skill কতটা উন্নত হয়েছে।
৩. ইংরেজি নিউস পেপার পড়াঃ ইংরেজি ভাষা শেখবার অপর একটি শহজ উপায় হোল ইংরেজি নিউস পেপার পড়া। নিয়মিত ইংরেজি নিউস পেপার পড়ুন। বাড়িতে যদি ইংরেজি নিউস পেপার না থাকে, তাহলে বিভিন্ন অনলাইন নিউস পেপার এবং ম্যাগাজিন গুলো পড়তে পারেন। এতে একদিকে যেমন ইংরেজি ভাষার প্রতি দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে, তেমনই বৃদ্ধি পাবে আপনার Out Knowledge যা IELTS পরীক্ষায় Speaking বিভাগে খুবই দরকারি।
৪. শব্দ ভাণ্ডার বাড়ানঃ ইংরেজি বলতে গেলে আমরা প্রধান যে সমস্যায় ভুগি, সেটি হল শব্দ ভাণ্ডারের অভাব। কারুর সাথে ইংরেজিতে কথা বলবার সময় হয়ত আমরা জানি যে কি বলতে হবে, কিন্তু সঠিক ইংরেজি শব্দটি সঠিক সময়ে খুজে পাইনা বা মনে থাকে ন। যার ফলে আমরা সাবলীল ভাবে ইংরেজি বলতে পারি না। এই সমস্যাটির একমাত্র কারন হল “Less vocabulary stock” বা শব্দ ভাণ্ডারের অভাব। তবে নিয়মিত অভ্যেস করলে খুব সহজেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এই সমস্যা সমাধানের একটি সহজ উপায় হল ইংরেজি ডিকশেনারি পড়বার অভ্যেস করা। অবসর সময়ে ডিকশেনারির পাতা ওলটাতে পারেন, এতে শব্দ ভাণ্ডার দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
৫. ইংরেজি ভাষায় কথা বলুনঃ ইংরেজি ভাষায় কথা বলার অভ্যেস বজায় রাখুন। বন্ধুরা মিলে একটি গ্রুপ করতে পারেন যেখানে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে ইংরেজিতে আলোচনা এবং একে অন্যের মতামত আদান প্রদান করতে পারেন। অথবা কেউ না থাকলে, দিনের যেকোনো একটি সময়ে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজে নিজে ইংরেজিতে কোন একটি বিষয় আলোচনা করতে পারেন। ব্যাপারটি শুনতে হাস্যকর লাগলেও খুব উপকারি। এতে করে ইংরেজি বলার সময় আপনি নিজের body language দেখতে পারবেন, যা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহাজ্য করবে। মনে রাখবেন ইংরেজি ভাষা বলার অভ্যেস না করলে কিন্তু ইংরেজি কখনই শেখা যায় না।
আজকে এটুকুই। উপরের নিয়ম গুলো মেনে অন্তত ১৫ টা দিন ইংরেজি চর্চা করুন, দেখবেন আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন ইংরেজি শেখাটা কত সহজ। শুরুতেই grammar বা ব্যাকরণ নিয়ে ভয় পাবেন না, বরং নতুন কিছু শেখার আনন্দে ইংরেজি চর্চা করুন।
শুভ কামনা রইল,
ধন্যবাদ।