স্বপ্নের উড়ান : সফলতার গল্প- ২৪
অনেক অনেক ধন্যবাদ মো: মুরাদ হোসাইন |
আসুন, একটি বিশ্বাস ও আস্থার গল্প বলি | ২০১০ সাল, জুন মাস | এস এস স্টিল বিল্ডিংয়ে শা এসোসিয়েটস এর অফিস শিফট | সেই নান্দনিক ভিক্টরিয়ান স্টাইলের চমৎকার বিল্ডিংয়ের চৌকষ কর্মকর্তা মিস্টার হোসাইন | আমাদের কাছে মুরাদ ভাই | উনি জানতেন , আমাদের বিজনেসটাই হলো- স্টুডেন্ট এন্ড ইমিগ্রেশন ভিসা কাউন্সেলিং | সেই সঙ্গে আমাদের রয়েছে সিস্টার কন্সার্ন- শা এলিট ট্যুরস | যে অফিসের মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র আমেরিকার B1/B2 ভিজিটর ভিসা ; কানাডার মাল্টিপল ভিজিট ভিসা , ব্রিটেন – অস্ট্রেলিয়া – সেনজেনের ভিজিট ভিসা করে থাকি | একদিন সাহস করে বলেই ফেললেন — আপনারা এতো এতো স্কিল্ড পারসন, মেধাবী স্টুডেন্টস , ফ্রিকুয়েন্ট ট্রাভেলার পাঠাচ্ছেন ; আমাকে কি সেই লিস্টে রাখা যায় না ? আমরা বলেছিলাম – আপনি মন থেকে চাইলেই হবে | উনার কথা একটাই – ভিসা চাই, তবে পুরো পরিবার সহ | আদরের ছেলে ও মেয়েকে ছাড়া ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল করা মানে সময় নষ্ট , অর্থ নষ্ট | আমরা বলেছি – শুরু হউক জার্নি | উনাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম – পাসপোর্ট ভারী করতে আপনি নিজের চেষ্টায় মালয়েশিয়া , সিঙ্গাপুর , থাইল্যান্ড , ইন্ডিয়া , নেপাল ঘুরে আসুন | বাকিটা আমরা শুরু করবো |
উনি সেই বিশ্বাসে ও আমাদের কথায় আস্থা রেখে সময় করে একটা একটা করে দেশ ঘোরা শুরু করলেন | এরপর আমাদের কাছে এলেন সেনজেন ভিসার জন্য | ইতালির ভিসা দিয়ে শুরু | এরপর কানাডা , এরপর আমেরিকা , আবার ইউরুপ এবং ইউকে একসঙ্গে ; এরপর অস্ট্রেলিয়া | কোন স্বপ্নটা পূরণ করিনি মুরাদ ভাইয়ের | তা-ও আবার পুরো পরিবার সহ | উনার প্রোফাইলে গেলেই মিলবে সবকিছুর সত্যতা | একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতি একজন মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস তাঁর লং-টার্ম মাস্টার প্ল্যানের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে – সেটা শিখতে হলে মুরাদ হোসাইনকে ফলো করতে হবে | যারা চটজলদি সবকিছু পেয়ে যেতে চান ; তাদের উদ্দ্যেশে আমাদের কথা একটাই — পাসপোর্টে আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়া সেনজেন ব্রিটেনের ভিসা একটার পর একটা লাগানো কোন সস্তা ওয়ার্ক নয় | দেশে হাজার হাজার শত শত কোটি টাকার মালিক ; অথচ ৫ই অগাস্টের পর অনেকের শেষ দৌড় বর্ডার দিয়ে ইন্ডিয়া গমন | কারণ, পাসপোর্টে তেমন কোন উন্নত দেশের ভিসা নেই | তার মানে , টাকা আর ক্ষমতা পাসপোর্টে ভারী করে না ! হুটহাট করে যেনতেন উপায়ে কাগজপত্র জমা দিলেই এম্বাসি বা হাইকমিশন আপনার ডকুমেন্টস দেখে খুশি হয়ে ভিসা দিয়ে দিবে , এই ভাবনা থেকে বের হয়ে আসুন | একজন ট্রাভেল ভিসা এক্সপার্ট আপনাকে যে গাইডলাইন দিবে , সেটা অন্য কেউ আপনাকে দিতে পারবে না | ঝরে বক মরা ট্রাভেল এজেন্সির অভাব নেই এই দেশে |
ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরোবরে-ও কিন্তু কফি পাওয়া যায় , দাম মাত্র বিশ টাকা ! আবার লা মেরিডিয়ানের কফির দাম ৭০০ টাকা | এখন ব্যাপারটা নির্ভর করছে – আপনি কিভাবে নিজের হ্যাবিট ও ইচ্ছা তৈরী করেছেন ? শা এলিট ট্যুরসের প্রতি গভীর বিশ্বাস ও আস্থা রাখবার জন্যে মুরাদ ভাই ও তাঁর হ্যাপি ফ্যামিলিকে আমাদের প্রানঢালা ভালবাসা ও ধন্যবাদ || – শা অ্যাডমিন ম্যানেজার