L O A D I N G

IELTS – Writing Tips

Writing – Essay লিখবার ৫ টি সহজ উপায়।

আজ আমরা আলোচনা করবো রাইটিং বিভাগ নিয়ে। IELTS এর রাইটিং বিভাগে সাধারনত ২টি Essay বা রচনা লিখতে হয়। এই বিভাগে কম বেশী সকলেরই কিছু না কিছু সমস্যা হয়ে থাকে। আজ আমরা সেই বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করবো। আসুন দেখে নেওয়া যাক রাইটিং বিভাগের জন্য নিজেকে কিভাবে প্রস্তুত করবো –

১. পড়া এবং লেখাঃ জটিল শোনাচ্ছে তো? আমি বলতে চাইছি আপনি একটি sequence ভিত্তিতে এগোন। যেটি আপনি লিখলেন, সেই অনুচ্ছেদ টি পুনরায় একবার পড়ুন এবং তার পরে পরবর্তী অনুচ্ছেদে যান। অনেকেই মনে করবেন, এতে সময়ের অপব্যাবহার হবে। কিন্তু এমন ভাবাটা ভুল। বরং আপনি যদি বার বার পড়েন তাহলে পরবর্তী অনুচ্ছেদ লিখতে আপনার ধারনা সচ্ছ হবে এবং সময় অনেক কম লাগবে।

২. টেনশন করবেন না। যেটুকু আপনি জানুন সেটুকুই লিখুনঃ মনে রাখবেন IELTS একটি সর্বদেশীয় ভিত্তিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র এমন ভাবেই করা হয়, যাতে যেকোনো দেশের ছাত্রছাত্রীরা সাবলীল ভাবে উত্তর দিতে পারে। এই বিভাগে ছাত্রছাত্রীরা সাধারণত যে সমস্যার সম্মুখীন হয়, তা হল রচনার বিষয়বস্তু। অনেকেই রচনার বিষয়বস্তু খুজে পান না। বিষয়বস্তু যে সবসময় জটিল হতে হবে এমন কোন কথা নেই। পরীক্ষকরা যেটা দেখেন, তা হল আপনার লিখবার এবং উপস্থাপন করবার ক্ষমতা। তাই বলবো, যেটুকু আপনি জানেন, যা আপনার অভিজ্ঞতায় আছে তার উপর ভিত্তি করে লিখুন।

৩. উদাহরন ব্যাবহার করুন, ব্যাখ্যা নয়ঃ পরীক্ষার হলে ছাত্রছাত্রীরা সকলেই চাপে থাকে। তবে আমি বলবো, যতটা সম্ভব সহজ ভাবে ভাববার চেষ্টা করুন। এই বিভাগটি রচনা ভিত্তিক বিভাগ, লক্ষ করে দেখেছি অনেকেই এখানে লিখবার সময় বিভিন্ন ব্যাখ্যার প্রয়োগ করেন। তবে এমন অনেক জটিল বিষয় রয়েছে যার কারন খুঁজে পাওয়া এবং ব্যাখ্যা করা বেশ কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ। এই ধরনের বিষয়ে, অধিকাংশ সময়ে ছাত্রছাত্রীরা বাক্য বড় করে ফেলে এবং ধারনাটি হয়ে ওঠে বিভ্রান্তিকর। তাই আমি বলবো, জটিল idea এর ক্ষেত্রে ব্যাখ্যার বদলে উদাহরনের প্রয়োগ বেশী করে করুন। এতে লিখবার এবং উপস্থাপন করার ব্যপারটি অনেক সহজ হবে।

৪. খুব বেশী লিখবেন নাঃ রাইটিং বিভাগে যদিও সর্বচ্চ শব্দ সংখ্যা নিয়ে কোনকিছু উল্লেখ করা থাকে না, তবুও বলবো চেষ্টা করুন আপনার লিখিত অনুচ্ছেদ এর শব্দ সংখ্যা যাতে ৫০০ – ৬০০ এর মধ্যে হয়। চেষ্টা করুন কম শব্দের মধ্যে রচনার বিষয়টি ভালভাবে উপস্থাপন করতে, যাতে পরীক্ষক সহজেই বুঝতে পারেন।

৫. লেখার পূর্বে structure তৈরি করে নিনঃ অন্ধের মতন না লিখে, একটি structure অনুযায়ী লিখুন। পরীক্ষার প্রস্তুতি পর্বে এই structure তৈরির কাজটি নিয়মিত চর্চা করতে হবে, যাতে পরীক্ষার হলে খুব তারাতারি করতে পারেন। নিজে নিজেই একটি structure করে নিন যে কিভাবে আপনি আপনার রচনাটি উপস্থাপন করবেন। যেমন –

প্রশ্ন – Discipline is an ever increasing problem in modern schools. Some people think that discipline should be the responsibility of teachers, while others think that this is the role of parents.

Discuss both sides and give your opinion

উত্তরের পরিকাঠামোঃ (Total 600 Words)

Structure of my Essay on Discipline
Section 1 (50 Words) Introduction about the idea
Section 2 (250 Words) Problem and example (Paragraph 1)
Section 3 (250 Words) Explaining my view and Solution (Paragraph 2)
Section 4 (50 Words) Conclusion


যে ভাবে চর্চা করবেন
যেহেতু বিষয়টি রাইটিং বিভাগের অন্তর্গত, তাই অবশ্যই বলবো প্রস্তুতিপর্বে নিয়মিত লিখবার চর্চা রাখতে হবে। যেকোনো একটি বিষয় নিয়ে নিয়মিত রচনা লিখবার চর্চা করুন, যাচাই করে দেখুন আপনার পরিকল্পিত কাঠামোর সাথে আপনার লিখিত অনুচ্ছেদটি কতটা মেলে। লক্ষ রাখুন কতটা নির্ভুল এবং সহজ ভাবে আপনি রচনার বিষয়বস্তুটিকে উপস্থাপন করতে পারছেন। দরকার হলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ কোন শিক্ষক বা বন্ধুর সাহায্য নিন, আপনার লিখিত রচনাটি পড়ান এবং দেখুন যে তাঁরা কতটা বুঝতে পারছে।

পরিশেষে এটাই বলবো, নিয়মিত চর্চা করলে এবং উপরের ৫ টি বিষয়ে একটু নজর দিলে, রাইটিং বিভাগে খুব সহজেই সফল হতে পারবেন।

আজকে এই পর্যন্তই।

শুভ কামনা রইল , ধন্যবাদ।

Leave a Comment